* চিকিৎসা বিষয়ক সমকালীন মাসআলা সমূহের বৃহৎ একটি অংশ এতে নিখুঁত পর্যালোচনার সাথে সন্নিবেশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
* প্রতিটি বিষয়ে শরয়ী বিধান আলোকপাত করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বাস্তব অবস্থার যথার্থ চিত্রায়ণ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে এবং বোঝার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় স্থানে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
* প্রায় প্রতিটি বিষয়ে বাংলার পাশাপাশি আরবী ও ইংরেজি পরিভাষাও উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে আলোচিত বিষয়ে আরবী ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ অনুসন্ধান করা ও তা থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হয়।
* প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন তুলে ধরা হয়েছে।
* মাসআলা বর্ণনায় খুঁটিনাটি পর্যালোচনা, পূর্ববর্তী ও সমকালীন আলেমদের মতামত ও মতবিরোধের উল্লেখ ও অগ্রগণ্য মত বিশ্লেষণ করতঃ সব দিক থেকে বইটিকে সজ্জিত করতে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় কোনো ত্রুটি করা হয়নি।
* প্রায় প্রতিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফিকহ ফোরাম ও শরীয়া বোর্ডগুলোর স্ট্যান্ডার্ড উল্লেখ করা হয়েছে।
* চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রাচীন মাসআলাগুলো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের তত্তে¡র আলোকে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পূর্ববর্তী ফকীহগণ ইজতিহাদ নির্ভর মাসআলার ক্ষেত্রে তখনকার চিকিৎসক ও তাদের যুগে প্রচলিত অভিজ্ঞতালব্ধ তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে সমাধান দিয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে যুগের প্রচলিত তত্ত¡ বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ গর্ভের সর্বোচ্চ সময়ের ব্যাপারে বিভিন্ন ফিকহে ২, ৪, ৫ ও ৬ বছরের কথাও বলা হয়েছে।
অথচ বর্তমান চকিৎসগণ বলেন, গর্ভ ১ বছরের অধিক কাল চলমান থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়।
তেমনি প্রচলিত ধারণা হল, মাতৃগর্ভে ভ্রূণ ৪০ দিন করে মোট ১২০ দিন নুতফা আলাকা ও মুযগা অবস্থায় থাকে। অথচ বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে দেখা যাচ্ছে, ভ্রূণ নুতফা অবস্থায় থাকে ১ সপ্তাহ, আলাকা হিসাবে থাকে ২ সপ্তাহ এবং মুযগা অবস্থায় থাকে প্রায় ২ সপ্তাহ। অর্থাৎ ৪০ দিনের ভেতরেই এই ধাপগুলো সমাপ্ত হয়ে যায়। এ ধরনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো এ বইয়ে স্থান পেয়েছে।
* চিকিৎসা সম্পৃক্ত মাসআলাগুলোর একটি অংশ এমন রয়েছে, যেগুলোতে পূর্বে ফকীহদের মাঝে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ ধরনের মাসআলাগুলোও এই বইটিতে গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, বংশ পরিচয়হীন নবজাতকের ব্যাপারে দুইজন দাবীদার হলে ফিকহে হানাফীতে দুই জন থেকেই পিতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর ফিকহে শাফিয়ীতে কিয়াফার শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আধুনিক ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সম্ভাবনা কতটুকু তা এই বইয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
* পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ ও উদ্ধৃতি উল্লেখের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
* বইটির শুরুতে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলার উপর প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলি ও গবেষণাপত্রের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, যা গবেষকদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে আমরা আশাবাদী।